ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ভারতে শনাক্ত কমলেও দৈনিক মৃত্যু ১২০০ ছুঁইছুঁই

দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশ ভারতে টানা কয়েকদিন যাবৎ মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় শেষ ২৪ ঘণ্টাতেও দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া কমেছে সংক্রমণের হারও। অপরদিকে দৈনিক প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১২০০ জনে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তথ্যটি জানিয়েছে।


দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত একদিনে ভারতে নতুন করে ৬৭ হাজার ৫৯৭ জন মহামারি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, যা সোমবারের তুলনায় ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ কম। এর ফলে দেশটিতে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চার কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬১১ জনে দাঁড়িয়েছে।


অন্যদিকে নির্ধারিত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এক হাজার ১৮৮ জন। সোমবারও এই সংখ্যা ছিল ৯০০’র কাছাকাছি। যদিও মাত্র একদিনের ব্যবধানে এই প্রাণহানির সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। করোনা মহামারির তাণ্ডব শুরুর পর থেকে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ দুই হাজার ৮৭৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।


ভারতে কোভিডের শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রভাব কমে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এরপরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণহানি এত বেড়ে যাওয়ার পেছনে ঠিক কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নতুন করে মাথাব্যথা দেখা দিয়েছে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হারও কমেছে। মঙ্গলবার দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ০২ শতাংশে রয়েছে। দেশটিতে এই মুহূর্তে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা প্রায় নয় লাখ ৯৫ হাজারে রয়েছে, যা মোট আক্রান্তের তুলনায় ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।


চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে করোনার অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের তাণ্ডবে ভারতে সংক্রমণে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে পৌঁছানোর আগেই কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ। অন্তত গত কয়েক দিন দেশটির করোনা পরিসংখ্যান থেকে সেই ইঙ্গিতই মিলছে। এতে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে জনজীবন। এমনকি বিভিন্ন রাজ্যে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


এছাড়া ভারতে এরই মধ্যে ১৭০ কোটির অধিক ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ এবং ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ চলছে।





















































































































সুত্রঃ দৈনিক অধিকার

ads

Our Facebook Page